বিশেষ প্রতিবেদক
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 5:44 PM
আটকে যেতে পারে বিডি ম্যানপাওয়ারের এর লাইসেন্স
আটকে যেতে পারে রিক্রুটিং লাইসেন্স (আর এল) ১৯৫৫ বিডি ম্যানপাওয়ার লিমিটেড এর লাইসেন্স কার্যক্রম।
বিএমইটিতে জমা হওয়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে বিডি ম্যানপাওয়ার সার্ভিস লিমিটেডের লাইসেন্স নবায়ন আটকে যেতে পারে এমন মন্তব্য করেছেন বিএমইটি এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তার ভাষায় বিএমইটিতে জমা হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেষে যদি দেখা যায় উল্লেখিত লাইসেন্স ধারি প্রতিষ্ঠান প্ররতারণার কোন অংশে জড়িত, তাহলে আইন অনুযায়ী তার লাইসেন্স কার্যক্রম স্থগিত করা হবে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আল আয়েশা সিয়াম ওভারসিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান যাদের কোন লাইসেন্স নাই, তারা বিডি ম্যান পাওয়ার এর সাথে সৌদি আরব শহর বিশ্বের বেশ কিছু দেশে লোক প্রেরণ করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় এনামুল হক নামে এক যাত্রীকে বিডি ম্যানপাওয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে সৌদি আরবে প্রেরণ করে। সেখানকার কর্মপরিবেশ এবং কনট্যক্ট সাইন এর সাথে অমিল থাকায় দেশে ফিরে আসে এনামুল।
দেশে ফেরার আগে অনেকটা জোর করে এনামুলের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরছে সে এমন অঙ্গীকারনামা আদায় করে সংশ্তালিষ্রট এজেন্সির লোকজন। জীবন বাচাতে এবং দেশে ফেরার স্বার্থে নিরুপায় এনামুল কাজগে স্বাক্ষর দিয়ে আসতে বাধ্য হয়। সে সময় তার একটি ভিডিও ধারণ করে রাখে এজেন্সির লোকজন।
এনামুল দেশে ফিরে এ বিষয়টি বিএমইটি এর বরাবর আবেদনে উল্লেখ করে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে। এনামুলের আবেদন বিএমইটি গ্রহণ করে কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক অফিসকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
গণমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে ফুলের স্বাক্ষর এবং অন্যান্য কাগজপত্র ঘেটে এনামুল প্রতারিত হয়েছে এমন বাস্তবতা সামনে আসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিডি ম্যানপাওয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান ঘটনাটির সাথে তার কোম্পানি জড়িত নয় এ কথা বলার সুযোগ নেই ,আল আইসা ওভারসিজ তাদের কোন কোন কাজ নিয়ে আমাদের কাছে আসে, আমরা সরকারের নিয়ম মেনে বিদেশী যাত্রীদের সেবা করে থাকি।
এখন এনামুলের বিষয়টার সম্পূর্ণ আল আয়েশার দায় হলেও কাগজপত্রে তাদের কোন অবস্থান না থাকায় এর দায় এসে পড়ছে বিডি ম্যানপাওয়ার এর ওপর যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক হলেও সত্য।
তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে আল আয়েশা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং সুষ্ঠু সমাধানে কার্যকার পদক্ষেপ নিতে বলেছি। কিন্তু কেন জানিনা এ বিষয়টি নিয়ে আল আয়েশা সিয়াম ওভারসিজ কোনভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছে না।
এদিকে আল আয়েশা এন্ড সিয়াম ওভারসিজের কার্যক্রম অনুসন্ধানে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মত ঘটনা ঘটেছে । গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েক শাখা খুলে বসেছে আল আয়েশা সিয়াম ওভারসিজ নামের এই প্রতিষ্ঠানটি।
সেই সাথে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোকো পাঠানোর আকর্ষণীয় প্রচারণা চালাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অধিকাংশ প্ল্যাটফর্মে।যার কয়েকটি ক্লিপ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। বিশেষ করে ফেসবুক জুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। অথচ ম্যানপাওয়ার নিয়ে ব্যবসা করার বা তাদেরকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোটিভেটেড করার মত কোন দালিলিক অধিকার এই কোম্পানিটির নাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে এই প্রতিষ্ঠানটি সারাদেশে বিশাল এক মানব পাচারের নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সময়ে যা বড় ধরনের বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করা সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্সির সাথে কথা বলে জানা যায়, যাদের সরকারের লাইসেন্স নাই, তারা ফেসবুক প্রচারণার মাধ্যমে যদি কোন প্রতারণামূল ঘটনার জন্ম দেয় তাহলে তা অবশ্যই অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাইবার এ্যক্ট আইনে মামলা হবে। ওই কর্মকর্তা গণমাধ্যমের কাছে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আল আয়েশা ফেসবুকে দেওয়া নাম্বারে ফোন করে জানতে চাইলে কোম্পানির ম্যানেজার পরিচয়ে আফরিন নামে একজন বলেন, আমাদের কোম্পানির রিক্রটিং লাইসেন্স প্রস্তাবিত হয়ে আছে। লাইসেন্স না থাকা অবস্থায় সোশ্যাল প্লাটফর্মে প্রচারণার মাধ্যমে সারাদেশে লোক সংগ্রহের প্রক্রিয়া বৈধ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আফরিন গণমাধ্যমকে বলেন এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে পারবেন না।
প্রতিষ্ঠানের মালিক পরে সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করে যোগাযোগ করে কথা বলবেন। পরবর্তী সময়ে একই নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিলেও আয়েশা এন্ড সিয়াম ওভারসিজের পক্ষে ফোন রিসিভ করেননি।
ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট এবং অভিবাসন আইন বিষয়ের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন বাঙালি বলেন, সামাজিক তুমি অবৈধ নিয়ম বার্তা দিয়ে যা করা হচ্ছে সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটা সাইবার সাইবার সিকিউরিটি এ্যক্ট এর পাশাপাশি প্রতারণায় জড়ানোর অভিযোগে ফৌজদারি মামলা হতে পারে
।তিনি নিজে মামলা করবেন এই মর্মে গণমাধ্যমের হাতে থাকা তথ্য সরবরাহে অনুরোধ করেন এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএমএইচ এর পক্ষ থেকে এনামুলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে।