রবিউল ইসলাম হৃদয়- ময়মনসিংহ
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 5:53 PM
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে শোকজ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, রবিউল ইসলাম হৃদয়
ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ১৯ শিক্ষক ও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটি এ নোটিশ দেয় এবং তাদেরকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের সমন্বয়ে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিগুলো প্রশাসনিক অনিয়ম, একাডেমিক অনিয়ম এবং ক্যাম্পাসে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার তথ্য যাচাইবাছাই করার জন্য গঠন করা হয়।
কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান, জাকির হোসেন খান এবং অধ্যাপক আকতার হোসেন মজুমদার।
শোকজ নোটিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন- ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মুনফিজুর রহমান (হিরক মুশফিক), সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবীর, ড. মুশাররাত শবনম।
থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত শারমিন তানিয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নগরবাসী বর্মণ (পার্থ), সহযোগী অধ্যাপক মাসুম হালদার।
দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. তারিকুল ইসলাম, প্রভাষক মো. তরিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা।
এছাড়া হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোল্লা আমিনুল ইসলাম, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অন্তরা মাহবুব, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাবুদ্দীন, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব হোসেন।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা খানম এবং ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তুহিন অবন্ত শোকজ নোটিশ পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শোকজ নোটিশের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছে অভিযোগের বিষয়ের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মিজানুর রহমান বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের জবাব পাওয়ার পর এবং তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”