নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ অক্টোবর, ২০২৫, 1:22 PM
কাশিমপুরে মালিকানা ও সরকারি জমির সীমানা নিয়ে জটিলতা
গাজীপুরের কাশিমপুরের পশ্চিম পানিশাইল মৌজায় মালিকানা ও সরকারি জমির সীমানা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে জমির মালিকপক্ষ আজিজুর রহমান কিরণ প্রশাসনের কাছে সীমানা নির্ধারণের আবেদন করেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জিরানী বাজার এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে জমির মাপজোক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সরেজমিন তদন্তে দেখা যায়, পশ্চিম পানিশাইল মৌজার এসএ ১৮ ও আরএস ৩০ নং খতিয়ানভুক্ত এসএ ১২ ও আরএস ৩৬ নং দাগের পাশে অবস্থিত আরএস ৩৯ নং দাগের ভূমি জিরানী বাজার পেরিফেরির অন্তর্ভুক্ত। ভূমিটি চন্দ্রা–সাভার (ঢাকা–টাঙ্গাইল) মহাসড়কের পশ্চিম পাশে অবস্থিত।
জমির উত্তর পাশে রয়েছে আরএস ৩৫ দাগের জোত জমি, দক্ষিণে বিকেএসপি’র সীমানা প্রাচীর, পূর্বে জিরানী বাজার পেরিফেরি ও সওজের রাস্তা এবং পশ্চিমে ঢাকা জেলার আন্তঃজেলা সীমানা।
রেকর্ডপত্র ও প্রশাসনিক নথি অনুযায়ী, আরএস ৩৯ নং দাগটি বন বিভাগের অধীন, যা আরএস ০২ নং খতিয়ানভুক্ত। ১৯২৭ সালের বন আইন, ১৯৫০ সালের জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ২০০১ সালের ৫০১ নং স্মারকের নির্দেশনা অনুযায়ী, জিরানী বাজার এলাকা সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন।
জমির সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী সহকারী ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সার্ভেয়ার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল–৮ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম খান।
আজিজুর রহমান কিরণের ম্যানেজার আতিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই জমি নিয়ে ভোগান্তিতে আছি। জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে রায় পাওয়ার পরও জমি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। একটি মহল আমাদের ক্ষতির চেষ্টা করছে।”
এ বিষয়ে অঞ্চল–৮ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন খান বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সরেজমিনে তদন্ত করছি। নথিপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মালিকানা ও সরকারি জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তি চলছে। প্রশাসন দ্রুত সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করলে এলাকার বিরোধ ও উত্তেজনার অবসান ঘটবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।