জাহিদ হাসান মিলু, ঠাকুর গাঁও
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 6:33 PM
ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধান-গমের চাষ সম্প্রসারণে গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচারণা
মো. জাহিদ হাসান মিলু, জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: জিংক ধানের ভাত খেলে—পুষ্টি, মেধা উভয় মিলে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলার তিন উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী মাইকিং প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইএসডিও। এতে গ্রামীণ মানুষদের মধ্যে জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের উপকারিতা নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
দেখা যায়, জেলার পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল ও সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন বেজে উঠেছে প্রচারণার মাইক। বার্তা ছিল একটাই—“জিংক ধানের ভাত খেলে পুষ্টি ও মেধা দুটোই বাড়ে।
হারভেস্ট প্লাস এর বাস্তবায়নে, রিয়েক্টস ইন প্রজেক্টের আওতায়, এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন—ইএসডিও।
২৬টি ইউনিয়নের ৪৪টি গ্রামে প্রচারণার অংশ হিসেবে শ্রুতিমধুর কণ্ঠ ও সঙ্গীতের মাধ্যমে জানানো হয় জিংক সমৃদ্ধ ধানের উপকারিতা। পাশাপাশি কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় ব্রিধান ৭৪, ৮৪, ১০০ ও ১০২ সহ বিভিন্ন জাতের উৎপাদন প্রযুক্তি ও তথ্যসম্বলিত লিফলেট ও ব্রোশিয়ার।
মানবদেহে জিংকের ঘাটতি পূরণে এসব জাতের ধান ও গম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এমন প্রচারণা থেকে জানতে পেরে স্থানীয়রা আগামীতে এই ধানের চাষ করতে এবং ভাত হিসেবে খেতে আগ্রহী। তাই তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
রিয়েক্টস ইন প্রজেক্ট এর ইএসডিও কো-অর্ডিনেটর কামরুল ইসলাম বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তারা এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বিগত দুই বছর ধরে জিংক সমৃদ্ধ ধানের বীজ জেলা তিনটি উপজেলার কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া মানবদেহে জিংকের ঘাটতি পূরণের জন্য তাদের এই কার্যক্রম আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
গ্রামীণ মানুষদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে ইএসডিওর এই জিংক ধান ও গমের প্রচারণা কার্যক্রম ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয়দের আশা—এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক