নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 8:08 PM
শাহিন খুনের ঘটনায় আল-মদিনা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজারসহ আটক -৩
* পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ পরিবারের
* মামলা ভিন্নখাতে নিতে মাঠে তৎপর একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা
রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন বেড়ীবাধ এলাকায় আল মদিনা এন্টার প্রাইজের প্রতিষ্ঠান আল মদিনা সারকাখানার পাশে শাহীন নামে যুবদলের ওয়ার্ড আহবায়ক কমিটির এক জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে কারখানার ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক করেছে দারুস সালাম থানা পুলিশ। নিহত শাহিনের সাথে বেধড়ঁক মারপিঠের শিকার হন মোশাররফ হোসেন নামের একজন ।
তিনি জীবিত ফেরত আসলেও তাদের সাথে থাকা অন্য আরো একজনের কোন সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছে মোশাররফ।
স্থানীয় সূত্র বলছে, কারখানার মালিক আওয়ামীলীগের সক্রিয় নেতা। ঘটনার দিন কারখানার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শাহিন মোশাররফসহ আরো একজন বলছিলো এটা ফ্যাসিস্ট এর কারখানা। এ কথা শোনার পরই কার খানার ম্যানেজারের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা করা হয়। এতেই খুনের ঘটনা ঘটে।
কারখানা ঘিরে একাধিক সম্ভাব্য খুনের ঘটনায় দিনভর উত্তেজনা ছিলো কারখানা এলকায়। প্রথম সারির স্যাটেলাইট মিডিয়াসহ গণমাধ্যমের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মিরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত থাকলেও রহস্যজনক কারণে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ ই সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার করেনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত শাহীনের মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নিহতের পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যম কর্মিদের কাছে দাবি করেন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আল-মদিনা এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজারের নেতৃত্বে খুন হয়েছে। যার সাথে মালিক আসাদুজ্জামান দিপু জড়িত।
শাহীনের ভাই সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আল-মদিনার মালিক ও তার লোকজনের নির্দেশেই এ ঘটনা ঘটেছে।”
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বিষয়ে দৈনিক কালের ছবিকে বলেন, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় পর্য ন্ত ৩জনকে আটক করা হযেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।