ঢাকা ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
Marriage Notice দূর্নীতির বহুমাত্রিক অভিযোগ জাতীয় গৃহায়ণ প্রশাসকের বিরুদ্ধে ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করছে ‘ডা: ইদ্রিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এক লটে ৭০৩ সরঞ্জাম: দরপত্রে ক্রয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সাজানো মিথ্যে মামলায় জেল হাজতে খোকন সেখ: ফরিদ গঞ্জে ক্ষাভ টেকসই উন্নয়নে ফিলানথ্রপি উদ্যোগের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত রেলওয়েকে লাভজনক করতে উদ্যোগ চলতি বছরে জরিমানা আদায় ২২ কোটি টাকার বেশি তদন্তের মুখেও জৌলুশ বাড়ছে গণপূর্তের প্রকৌশলী স্বপন চাকমার দি ইবনেসিনা ফার্মাসিউটিক্যাল এর ৪১তমবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ২০২৫-২৬ কর বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

সব জেনেও নিশ্চুপ কৃষি কর্মকর্তা অবৈধ দোকানেঅতিরিক্ত দামে সার বিক্রি

#

সিপন আহমেদ, মানিকগঞ্জ

২৩ নভেম্বর, ২০২৫,  10:33 AM

news image



মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া বাজারের মেসার্স মরিয়ম ট্রেডার্সের কোনো সার বিক্রির লাইসেন্স নেই। তবু বছরের পর বছর ধরে দোকানটিতে প্রকাশ্যে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে বস্তাপ্রতি ৬৫০–৭৫০ টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিস ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা জানলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


গত ২০ নভেম্বর দুপুরে দোকানটিতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের ভিড়। সাটুরিয়ার ঘিওর গ্রামের কৃষক আব্দুল বারেক দুই বস্তা ডিএপি কিনেছেন ১,৭০০ টাকা দরে। টাঙ্গাইলের মজিবর রহমান ডিএপি ১,৮০০ টাকা ও টিএসপি নিয়েছেন ১,৭৫০ টাকা দরে।

বালিয়াটির রাসেল মিয়ার কাছ থেকেও ডিএপির দাম নেওয়া হয় বস্তাপ্রতি ১,৮০০ টাকা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, দোকানটির লাইসেন্স না থাকায় তাঁর তদারকির আওতায় পড়ে না।

বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. তানিয়া তাবাসসুম দেখেন। স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল বাশারও দোকানের পক্ষে তদবির করেছেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ বলেন,

অতিরিক্ত দামে বিক্রি হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

রপর বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান, দোকান মালিক সিদ্দিকুর রহমান ও কৃষি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম একত্রে প্রতিবেদকের সঙ্গে

দেখা করে টাকা দিয়ে বিষয়টি ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করেন। অভিযোগটি জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি উপজেলা অফিসকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সার উত্তোলন করা যায় কেবল বিএডিসি ও বিসিআইসির অনুমোদিত ডিলারদের মাধ্যমে। কিন্তু লাইসেন্সবিহীন মরিয়ম ট্রেডার্সের তিনটি

গোডাউনে নিয়মিতই বিপুল পরিমাণ সার মজুত থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে—লাইসেন্সধারী কিছু ডিলারের বরাদ্দকৃত সার কালোবাজারে কিনে এনে দোকানটি বেশি দামে বিক্রি করে।


সার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৬ অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া সার বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। শাস্তি ছয় মাস কারাদণ্ড বা জরিমানা। ভোক্তা অধিকার আইনে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে এক বছর কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নীরবতা ও স্থানীয় তদবিরের কারণে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হয়নি। কৃষকেরা বলছেন, তদন্ত হলে কারা এই ব্যবসার পেছনে আছেন তা বেরিয়ে আসবে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জাহিদুল ইসলাম