নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ নভেম্বর, ২০২৫, 8:51 PM
২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করছে ‘ডা: ইদ্রিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’
আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে ‘ডা: ইদ্রিস ও বেগম আশরাফুন্নেসা ফাউন্ডেশন’ এর সম্পূর্ণ অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘ডা: ইদ্রিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’।
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায়, রহিমানগর বাজারের সন্নিকটে গোহট গ্রামের শ্যামল ছায়া নির্মল পরিবেশে নিজস্ব ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে স্কুলটি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে গত ২৪শে নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, স্কুলের জন্য নির্ধারিত স্থানে এক সুধী সমাবেশে ‘ইনস্টলেশন প্রোগ্রাম’ এর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় যে আগামী জানুয়ারী ২০২৬ সাল হতে শিক্ষা কার্য্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রোগ্রামটির আয়োজন ও পরিচালনা করেন ডা: ইদ্রিস এর সন্তান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কুয়েটের প্রাক্তন উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও পূর্ণকালীন সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
এতে উপস্থিত ছিলেন গোহট(দক্ষিন) ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়, গার্লস হাই স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যথাক্রমে আবুল হোসেন পাটোয়ারী, মনির হোসেন ও মোহাম্মদ মহসিন।
এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী কবির হোসেন চৌধুরী, মো: শাবুদ্দিন, হুমায়ূন কবির, জাকারিয়া, কবির হোসেন, ডা: শওকেত আলী মানিক, মো: বিল্লাল হোসেন, মো: শাজাহান মিয়াজী, মো: সাইফুল ইসলাম ও মো: আবু বকর মেহেদী, প্রমুখ। ডা: ইদ্রিস এর পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের মাঝে ছিলেন মো: আবুল খায়ের, মো: শাহ আলম, আ.ন.ম. খোরশেদ আলম, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (অব:) খোদেজা আক্তার, সিনিয়র সচিব (অব:)মোস্তফা কামাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
আশফাক আলম চৌধুরী, আনিসুর রহমান, অনিন্দ্য আরিফ আহমেদ ও শিয়ান শাহরিয়ার আলমগীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থেকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডুয়েট এর গণিতের অধ্যাপক ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু নঈম শেখ এবং লন্ডন, ঢাকা ও শরীয়তপুরে স্কুল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মোহম্মদ মহসিন উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সবাই এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং অত্র এলাকায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে ভালো স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানান এবং সর্বত ভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
আলোচনা শেষে এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন গার্লস স্কুল এর ধর্মীয় শিক্ষক এবং উক্ত ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন।
এপর্যায়ে বর্তমান অবকাঠামো প্রয়োজনীয় সংস্কার করে কেবলমাত্র প্লেগ্রুপ, নার্সারী, কেজি ও ক্লাস ওয়ান এ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গুণগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুরু থেকেই প্রতিটি লেভেলে শিক্ষার্থী সংখ্যা সীমিত রাখা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে স্কুল ভবন নির্মাণ করার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মাকচুদুল বারি স্বপন।