নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২৫, 8:54 PM
গণমাধ্যম এড়িয়ে চলছেন গণপূর্তের ময়নুল-রায়হান
সিরাজ বিন আব্দুল্লাহ
গণমাধ্যম এড়িয়ে চলছেন গণপূর্তের আলোচিত ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া দুই তরুণ কর্মকর্তা ময়নুল ও রায়হান। কোন ভাবেই তারা গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে কথা বলতে নারাজ বলে গণপূর্তের সূত্রগুলো বলছে। সূত্রমতে, প্রকাশ্যে ঘুষ কেলেঙ্কারির ভিডিও সামনে আসা ও ঘুষ কেলেঙ্কারির ছায়া মানুষ হিসেবে জড়িয়ে গেছে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রায়হানের নাম। সেই অপ্রিয় সত্য ভিডিওটি যাতে বার বার সামনে ফিরে না আসে। সে কৌশল হিসেবেই গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলার এ প্রবণতা।
জানা যায়, সম্প্রতি গণপূর্তে ১০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে লজ্জায় পড়ে গণপূর্তের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিরা। এ ঘটনাকে কোন না কোন ভাবে ধামাচাপা দিতে চায় গণপূর্থ কর্তৃপক্ষ। ঘটনা ধামা চাপা দিতে পেছন থকে কল কাঠি নাড়ছে ঘূষের ঐ ঘটনার প্রত্যক্ষ সহযোগি হিসেবে নাম উঠে আসা নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রায়হান।
সূত্র বলছে, প্রকাশ্যে আসা ঐ ভিডিও শুধূ নয়, এই দুই তরুণ প্রকৌশলী গণপূর্তের অভ্যান্তরে একটি দূর্নীীতর সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। সূত্র বলছে ঘুষের ঐ ঘটনায় দূর্নীতি দমন কমিশন তদন্তে নেমেছে সেই তদন্তেও জড়িয়ে গেছে তরুণ এউ দূই কর্মকর্তার নাম।সূত্র বলছে দুদকের টিম এখন এই দুই প্রকৌশলীর ব্যক্তিগত সম্পদসহ গণপূর্তের অভ্যান্তরে তাদের সিন্ডিকেট সম্পর্কে তদন্ত করছে। গণপূর্তের সাথে কাজ করা ঠিকাদারদের একাটি সূত্র বলছে, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী খালেক আকনের পেছনে থেকে পুরো সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী এস, এম, ময়নুল হক।
ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর ই/এম বিভাগ-৩ এ আর্থিক অনিয়ম, টেন্ডার কারচুপি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে বহু অভিযোগ নতুনভাবে সামনে আসার পাশাপাশি নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রায়হানও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনি”ছুক এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গণপূর্তের ই/এম-৩ ও তেজগাঁও সিভিল বিভাগ-৩ মধ্যে একটি সমন্বিত ‘প্রভাব নেটওয়ার্ক’ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। বাপিডিপ্রকৌস সভাপতি হিসেবে উঠে এসেছে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ রায়হান মিয়ার নাম। তাদের অভিযোগ ঠিকাদার নির্বাচন, সুপারিশ বাণিজ্য, বিল নির্দেশ এসব ক্ষেত্রে রায়হানের ‘পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ’ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনি”ছুক এক ঠিকাদার বলেন, রায়হান মিয়ার আশীর্বাদ থাকলে নিয়ম, যোগ্যতা, টেন্ডার কিছুই বাধা নয়।”
দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রায়হানের নথিপত্রও যাচাইয়ের আওতায় এসেছে। তদন্তে যুক্ত একটি সূত্র জানায় অভিযোগকারীরা যে তথ্য দি”েছন, সেটি একটি সংগঠিত প্রক্রিয়ার দিকেই ইঙ্গিত করছে। কাজ না করেও বিল উত্তোলনের মতো অভিযোগও এসেছে। এ বিষয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম ময়নুল এবং রায়হান মিয়া কে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভকরেননি। এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে উত্তর মেলেনি।
দুদক সূত্র বলছে তদন্তের অংশ হিসেবে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরও ব্যাখ্যা নেওয়া হবে। নীরবতা কোনো সমাধান নয়। ঠিকাদাররা বলছেন, ই-এম বিভাগ-৩ দীর্ঘদিন ধরেই ‘ঘুষ-নির্ভর’ নির্বাহী প্রকৌশলী কিছু কর্মকর্তা মিলে তৈরি করেছেন কর্তৃত্বের বলয় ভিডিওটি পুরো নেটওয়ার্ক উন্মোচনের সুযোগ তৈরি করেছে। তাদের কথা দুদক এবার কঠোর হলে পুরো চক্র ধরা পড়বে। তেজগাঁও গণপূর্তের সিভিল বিভাগ-৩ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ রায়হান মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ বিষাদগার করছে। এপি প্রতিহিংসার কারণে করছে। এ গুলো কষ্টদায়ক।