নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ অক্টোবর, ২০২৫, 4:08 PM
তথ্য গোপন করে করঅঞ্চল -৬ এর নোটিশ সার্ভার শ্রীবর্দির জমিদার খ্যাত লিটন এখন শতকোটি টাকা ব্যাংক লোনের ধান্দায় নমেছেে
বড় ব্যাংক লোনের ধান্দায় নেমেছে এখন করঅঞ্চল -৬ এর নোটিশ সার্ভার শ্রীবর্দির জমিদার খ্যাত লিটন মিয়া। জানা যায়, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানায় এক নামে জমিদার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ঢাকা কর অঞ্চল ৬ এর নোটিশ সার্ভার লিটন মিয়া । ঢাকা ও এলাকায় রয়েছে তার সম্পদের পাহাড়। সামান্য চাকুরির সুবাদে তার এই রাজকীয় জীবনের কাহিনী এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্ঠি করেছে ।
সরকারি চাকরি এক সোনার হরিণ হয়ে উঠেিেছ লিটন মিয়ার জীবনে। ছোট হোক, বড় হোক কোন প্রকারে একটি চাকুরী জোগাতে পারলেই যেন বনে যাওয়া যায় কোটি কোটি টাকার মালিক। তারি একটি বাস্তব উদাহরণ হল লিটন মিয়া। শ্রীবরদী থানার, ভারালা গ্রামের অতি সাধারণ পরিবারের তার জন্ম।
তার পিতার নাম আব্দুল খালেক,। কর অঞ্চল ৬ এ নোটিশ সার্ভার পদে চাকুরী পাওয়ার পর তার আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি। বনে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। বাবা ছিলেন একজন মাছ ব্যবসায়ী গ্রামের হাটবাজারে মাছ বিক্রি করা ছিল তার নিত্যদিনের পেশা, এখন তিনি ছেলের বদৌলতে থাকেন আলিশান বাড়িতে গ্রামের বাড়িতে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন করে করেছেন এক রাজকীয় বাড়ি, এলাকায় কিনেছেন বিঘায় বিঘায় সম্পত্তি ।
শ্রীবরদি শহরে রয়েছে চারটি বাড়ি ভায়া ডাঙ্গা তেতুলিয়ায় ২২ একর জায়গার উপর লোকমান এন্ড লিয়া এগ্রো ফিসারিস নামে রয়েছে বিশাল এক মাছের প্রজেক্ট। এ প্রজেক্টে যাওয়ার জন্য প্রায় এক কিলো রাস্তা নিজস্ব অর্থায়নে দুই পাশে আর সি সি পিলার করে রাস্তাটি নির্মাণ করেন।
এই প্রজেক্ট এর পাশে প্রায় আরো ১০০ বিঘার মত জায়গা বায়না রেজিস্ট্রি করেন। শ্রীবরদি কন্টিপারা মেইন রোডের সাথে লুহমান এগ্রো অটো রাইস মিল নামে ২.৫ একর জায়গা ক্রয় করে বাউন্ডারি করে রাখেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকার উপরে। সাধারণত একটি অটো রাইস মিল চালু করতেই প্রায় ১শত কোটি টাকার মত প্রয়োজন হয়।
আমাদের অনুসন্ধানি টিম এই দুর্নীতিবাজ লিটনের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তার সম্পদের বিবরণ দেখে আতকে ওঠেন। ২০১০ সালে মাত্র ১৫হাজার টাকার বেসিক বেতনে নোটিশ সার্ভার পদে চাকরি করা লিটন কিভাবে শত কোটি টাকার মালিক বনে যান তা নিয়ে রয়েছে জনমনে প্রশ্ন।
তার নিজগ্রামের নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন ‘ ১০ বছর আগেও তার বাবার পাঁচ শতাংশ জায়গার উপরে ছিল একটি ছোট্ট টিনের ঘর’। এ অব¯’ায় কিভাবে আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেলেন তা তাদের জানা নেই । তিনি নামে বেনামে করেছেন অডেল সম্পত্তি।কলাতলা তার শ্বশুর বাড়িতে ক্রয় করেছে কয়েক একর সম্পত্তি । অথচ কয়েক বৎসর আগেও তার শশুর ভ্যানে করে বাজারে বাজারে কাঁচামাল বিক্রি করতেন।
স্ত্রীর একাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকার লেনদেন একজন সাধারণ গৃহিণী হয়ে এত অর্থের মালিক কিভাবে হলেন তা আমাদের জানা নেই। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে তার ৪টি ফ্লাট। উত্তরা মডেল টাউনে রয়েছ প্লট। ধানমন্ডি রয়েছে ফ্লাট মোহাম্মদপুর বসিলাতে রয়েছে তার একটি বাড়ি। রামপুরা বনশ্রীতে রয়েছে তার একটি ফ্ল্যাট যেখানে তিনি স্ত্রী সন্তানদেরকে নিয়ে বসবাস করেন । যাতায়াতের জন্য রয়েছে তার বিলাসবহুল একটি গাড়ি ঢাকা মেট্রো চ (১৯-৯১৪৮) (লিটন এর স্ত্রী অল্প শিক্ষিত এক জন গৃহিণী। তার নামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। রয়েছে এফ.ডি.আর।
লিটনের ছোট বোন নিলুফার নামেও রয়েছে বহু টাকার টাকার সম্পত্তি। আরো নামে বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। আপনি এত টাকার মালিক কিভাবে হলেন জিজ্ঞেস করা হলে আমাদের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন আমি বিভিন্ন ফাইলের কাজ করি তাই, শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের অনেক দাপুটে নেতাদের ফাইল সম্ননয় করতাম,
তাই তারা আমাকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকতেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে নিজেকে মতিয়া চৌধুরীর ভাগিনা পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতেন । এলাকার লোকজনের অভিযোগ, অনেকের কাছ থেকেই চাকুরিও বিভিন্ন ব্যবসার প্রলোভন দিয়ে বহু টাকা নিয়েছেন। দু-একটি অভিযোগও রয়েছে থানায় , যার ভিত্তিতে পুলিশ তার বাড়িতে একাধিকবার অভিযান করে বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে তার অফিসের এক কর্মচারী বলেন তিনি তো নিয়মিত অফিস করতেন না। গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে এমনভাবে অফিসে চলাফেরা করতেন, সে সময় ভয়ে উদ্যোতন কর্মকর্তারাও তট¯’ থাকতেন।
তারএহেন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বললে এক পর্যায়ে তিনি অনুনয় বিনুনয় করে আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন যদি আপনার এক ছোট ভাই কিছু করে ভালো থাকতে পারে তাহলে আপনার সমস্যা কোথায় ।মাত্র ১৫হাজার টাকার বেতনের চাকরিজীবী হয়ে কিভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হলেন তা এখন এক বিরাট প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।