মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
০৪ নভেম্বর, ২০২৫, 1:04 PM
ফাইল আটকে ঘুষ দাবির অভিযোগ হালিশহর বিদ্যুৎ অফিসের ইউডি অরুণ কুমারের বিরুদ্ধে
* বিদ্যুৎ অফিসে দীর্ঘ ২৫ ঘন্টায় মিলেনি পেনশনের স্বাক্ষর অভিযোগ উঠেছে উচ্চমান সহকারি অরুণ কুমার দাশের বিরুদ্ধে
( বিক্রয় বিতরণ বিভাগ হালিশহর বিদ্যুৎ অফিসে দীর্ঘ ২৫ ঘন্টা ধরনা ধরেও মিলেনি পেনশনের স্বাক্ষর ।
স্বামীর পেনশনের বই নিজের নামে করতে বিদ্যুৎ অফিসে দীর্ঘ ২৫ ঘন্টা বসে ছিলেন বিক্রয় বিতরণ বিভাগের লাইনম্যান মৃত সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী জাহেদা বেগম।
বিক্রয় বিতরণ বিভাগ হালিশহরে চলছে ফাইল বানিজ্য অভিযোগ উঠেছে উচ্চমান সহকারি (ইউডি) অরুন কুমার দাশের বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ কর্ণফুলী ইপিজেড বিক্রয় বিতরণ বিভাগ হালিশহর বিদ্যুৎ অফিসে ফাইল বানিজ্য যেন থামছেই না।এমন একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে হালিশহর বিক্রয় বিতরণ বিভাগের উচ্চমান সহকারি (ইউডি)
অরুন কুমার দাশ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল ৩ নভেম্বর সোমবার সকালে এসব তথ্য এসেছে জাতীয় দৈনিক কালের ছবির হাতে।
সোমবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে আসেন বিদ্যুৎতের লাইনম্যান সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী জাহেদা বেগম।স্বামীর পেনশনের বই নিজের নামে করতে দীর্ঘ ২৫ ঘন্টা ধরে বিক্রয় বিতরণ বিভাগে বসে থেকে পেনশনের বই নিজের নামে করতে পারে নাই জাহেদা বেগম। প্রায় ৩১ঘন্টা বিদ্যুৎ অফিসে বসে থাকার পর বিকেল ৪টায় পেনশনের স্বাক্ষর মিলেছে ঐনারীর কপালে।
নানা অযুহাতের মধ্যে বন্ধি করেছিলেন উচ্চমান সহকারি (ইউডি)অরুন কুমার দাশ।মৃত সিদ্দিকুর রহমান বিগত ১০ বছর আগে বিক্রয় বিতরণ বিভাগ হালিশহরে সর্বশেষ ডিউটি করতেন। বিগত ৩ মাস আগের বিদ্যুৎেতের লাইনম্যান সিদ্দিকুর রহমানের মৃত্যু হয়।মৃত্যুর পাঁচমাস পেরিয়ে,বিগত তিনমাস আগে হালিশহর বিক্রয় বিতরণ বিভাগের এক ইউডির সাথে কথা বলে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসেন জাহেদা বেগম।
ঐসূত্রপাতে গত ০১ নভেম্বর কুমিল্লা থেকে রাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয় মৃত সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী জাহেদা বেগম। ২ নভেম্বর সকাল ১০টায় বিদ্যুৎ অফিসে ধরনা ধরে মিলেনী একটি স্বাক্ষর। স্বামীর পেনশনের বই নিজের নামে করতে দীর্ঘ ৩১ ঘন্টা মিলেছে পেনশনের স্বাক্ষর। বিদ্যুৎতের কর্মচারীরা এমন হয়রানির শিকার হলে সাধারণ সেবা নেয়া গ্রাহকরা কোথায় গিয়ে সেবা পাবে প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
এবিষয়ে মৃত সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী জাহেদা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জাতীয় দৈনিক কালের ছবি কে বলেন,রবিবার সকাল ১০ টা বাজে হালিশহর বিদ্যুৎ অফিসে এসেছি,রবিবার সারাদিন ও সোমবার সারাদিন থেকে বিকেল ৪টার সময় পেনশনের স্বাক্ষর নিতে পেরেছি।পেনশনের স্বাক্ষর নিতে প্রায় ৩১ঘন্টা সময় লেগেছে পাঁচ মিনিটের কাজ পুড়া ৩১ঘন্টা লাগিয়েছেন অরুণ কুমার নামে এক ব্যক্তি।
এবিষয়ে উচ্চমান সহকারি অরুন কুমার দাশ 'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ক্যামেরা বন্ধ করুন এবং আপনি স্যারের সাথে কথা বলুন।পেনশনের বইয়ের কথা জানতে চাইলে তিনি পূনরায়
আবারও বলেন,বই আছে আপনি স্যারের সাথে কথা বলুন বলে কর্মস্থল ত্যাগ করেন অরুণ কুমার দাশ।
অরুণ কুমার দাশের নানা অনিয়ম তুলে ধরে বিক্রয় বিতরণ বিভাগ হালিশহরের একাধিক কর্মকর্তাও কর্মচারি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বলেন, উচ্চমান সহকারি (ইউডি) অরুন কুমার দাশ অফিসের ফাইল অফিসে বসে কাজ করার কথা থাকলেও তিনি ছুটির পর ফাইল নিয়ে বাসায় চলে জান।।সরকারি ফাইল সরকারি অফিসে বসে কাজ করতে দেখা যায়নি। সরকারি ফাইল বাসায় নেয়ার কোন পারমিশন নেই বিদ্যুৎ অফিসের। অরুন কুমার দাশ সময় মতো টাকা না পেলে ফাইল হারানোর পায়তারা করেন। অরুন কুমার দাশ একজন আওয়ামিলীগের দোসর।বর্তমানে আওয়ামিলীগের প্রভাব বিস্তার করে এসব অপকর্ম করে আসছে তিনি।
একটি ফাইল সমাধান করতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৭থেকে ১০দিন,বর্তমানে ২ থেকে ৩ মাস লাগে ফাইলের কাজ সম্পন্ন করতে।অফিস ছুটির পর ফাইল হাতে অরুন কুমার দাশ কে দেখা গেছে গেটের বাহিরে,এবং এক একটি ফাইল বাবদ অরুন কুমার দাশ কে দিতে হয় ২০০০ (দুই হাজার টাকা) টাকা দিবেন তো ডিমান লোট পাবেন,টাকা দিবেন না
ডিমান লোট পাবেন না।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে,বিক্রয় বিতরণ বিভাগের উচ্চমান সহকারি (ইউডি)অরুন কুমার দাশ প্রতিটি ফাইল বাবদ ২০০০( দুই হাজার করে টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তথ্য সূত্রে আরও জানা গেছে, সকাল ৯টায় অফিস টাইম থাকলেও তিনি প্রতিদিন সকাল ১০ টার পর অফিসে হাজির হয়। এছাড়া স্টাফ সহ সাধারণ গ্রাহকদের সাথে অশ্লীল ভাষায় আচরণ করেন অরুণ কুমার দাশ।
এবিষয়ে বিক্রয় বিতরণ বিভাগ হালিশহরের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করে নাই।