বিশেষ প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর, ২০২৫, 5:24 PM
শতকোটি টাকা সম্পদের মালিক কেএই আলমগীর হোসেন
আলমগীর হোসেন। নিজেকে পরিচয়দেন বিমান বাহিনীর একজন বড় কর্মকর্তা হিসেবে। তার চলনে বলনে রাজকীয় সে ভাব রয়েছে। সাধারণ যে কেউ তাকে দেখলে এবং তার সাথে কথা বললে তাকে বিমান বাহিনীর বড় কর্মকর্তা হিসেবে মেনে নিতে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আলমগীর হোসেনের এই রাজসিক চলন এর ভেতরে প্রতারণার এক সূক্ষ্ম কৌশল যে লুকিয়ে আছে তা বুঝতে অনেককেই বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এই আলমগীর হোসেন বিমান বাহিনীর বড় কর্মকর্তার পরিচয়ে ইতিমধ্যে অর্জন করেছেন শতকোটি বা তারও বেশি পরিমাণ টাকার সম্পদ। রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত চারিদিকে ছড়িয়ে ছিঠিয়ে রয়েছে সম্পদের বহর।
যা সাধারণ কারো পক্ষে যে অর্জন করা সম্ভব নয় সেটা বুঝতে কোন বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই।
গণমাধ্যমের অনুসন্ধান বলছে, বিগত ফ্যাসিস্ট যুগের পুরো সময় জুড়ে এই আলমগীর হোসেন নিজেকে বিমান বাহিনীর বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে মিশতেন আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের সাথে। এসব নেতাদের মধ্যে প্রয়াত: সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর সাথে আর ঘনিষ্ঠতার গল্প জানা যায়।
সে সময় স্বাস্থ্য খাতে নানা বিতর্কের সাথে জড়িয়ে ছিল আলমগীর হোসেনের নাম। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে স্বাস্থ্য খাতের নানা নিয়োগ, বদলি, তদবির বাণিজ্যে তার নাম জড়িয়ে পড়ার জনশ্রুতি রয়েছে। সেই সাথে আওয়ামী রাজনীতির ডন হিসেবে খ্যাত নাজমুল হাসান (পাপন) এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচয় আছে এই আলমগীর হোসেনের ।
গণমাধ্যমের হাতে আসা অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর আশপাশ জুড়ে হিসাবের বাইরে সম্পদ গড়েছেন এই আলমগীর হোসেন। অনেকেই বলছেন সাবেক এমপি পাপনের কালো টাকার একটি অংশ রক্ষা করে চলেছেন এই আলমগীর হোসেন।
এ সময় পর্যন্ত গণমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর মাটিকাটাতে রয়েছে তার একাধিক বাড়ী, ফ্ল্যাট এবং প্লট । সাগুপ্তা প্রজেক্টে রয়েছে বিঘায় বিঘায় জমি ও প্লট।
সম্পদের এত তালিকা হাতে আসার পরে আলমগীর হোসেন সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বিমান বাহিনীর কোন বড় কর্মকর্তা নন। নিজেকে জনসম্মুখে জাহির করার জন্য বড় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিলেও তিনি মূলত বিমান বাহিনীর একজন স্টোর কিপার মাত্র। যার বেতনে সাধারণভাবে সংসার চালানোই কষ্টকর হওয়ার কথা।
অথচ তার রাজকীয় জীবনযাপন এবং শত কোটি টাকার অর্জিত সম্পদ যখন সামনে আসে তখন তার পেছনের গল্পটি জানার আগ্রহ গণমাধ্যমের জন্য স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে ওঠে ।
কিন্তু সেই গল্প জানতে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সে বিষয়ে কোন কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি এই স্টোর কিপার ।
বিধিবদ্ধ বাহিনীতে কর্মরত একজন স্টোর কিপার সেই বাহিনীর পরিচয় বহন করে এতসব সম্পদ অর্জনের কাহিনী কতটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে! সে এক প্রশ্ন হয়ে থেকে যাচ্ছে।যা অনুসন্ধানের দাবিকে আরো গভীর করে তুলছে....