ঢাকা ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
Marriage Notice দূর্নীতির বহুমাত্রিক অভিযোগ জাতীয় গৃহায়ণ প্রশাসকের বিরুদ্ধে ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করছে ‘ডা: ইদ্রিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এক লটে ৭০৩ সরঞ্জাম: দরপত্রে ক্রয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সাজানো মিথ্যে মামলায় জেল হাজতে খোকন সেখ: ফরিদ গঞ্জে ক্ষাভ টেকসই উন্নয়নে ফিলানথ্রপি উদ্যোগের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত রেলওয়েকে লাভজনক করতে উদ্যোগ চলতি বছরে জরিমানা আদায় ২২ কোটি টাকার বেশি তদন্তের মুখেও জৌলুশ বাড়ছে গণপূর্তের প্রকৌশলী স্বপন চাকমার দি ইবনেসিনা ফার্মাসিউটিক্যাল এর ৪১তমবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ২০২৫-২৬ কর বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

গাইবান্ধায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ আগস্ট, ২০২৫,  2:06 PM

news image


১.গাইবান্ধায় প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভুয়া নিয়োগ বোর্ড ও বহিরাগতদের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা

‎‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি:‎গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর এফ.এম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।অভিযোগ উঠেছে, দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দিয়ে ভুয়া নিয়োগ বোর্ড ও বহিরাগত প্রভাব খাটিয়ে পদ দখলের চেষ্টা চলছে।‎বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম সরকার সোমবার(২৫ আগস্ট)সকালে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।‎তিনি জানান,২০০২ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর ২০০৯ সালে ম্যানেজিং কমিটি তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পরিবর্তনের পর সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি আবারও তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।‎নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন,২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস মিয়া ভুয়া নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিজেকে প্রধান শিক্ষক ও কমল চন্দ্র বর্মণকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালান।এনিয়ে হাইকোর্ট, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে জাল কাগজপত্র জমা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।‎সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়,স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছাড়লেও আব্দুল কুদ্দুস মিয়া পুনরায় প্রধান শিক্ষকের পদ দখলের জন্য বহিরাগতদের নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছেন।স্থানীয় জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদেরও সঙ্গে নিয়ে তিনি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।‎বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আব্দুল মাজেদ সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া লিখিত নোটিশে জানান,নিয়ম মেনে ও দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে নজরুল ইসলাম সরকারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত থাকা কমল চন্দ্র বর্মণ কিংবা স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছাড়লেও পুনরায় দায়িত্ব নিতে চাইছেন আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার কোনো বৈধতা নেই। বরং ভুয়া নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।‎প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে চলমান এই টানাপোড়েনের কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।শিক্ষকরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে অভিভাবঅভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।‎সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম সরকার প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন,বহিরাগতদের প্রভাব ও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল বন্ধ না হলে বিদ্যালয়টির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জাহিদুল ইসলাম