নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 11:16 PM
ঝিনাইদহে নতুন এক বাড়ী ঘিরে অনেক প্রশ্ন
ঝিনাইদহ শহরের পৌর এলাকায় মাত্র ১.৫ শতক জমির উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে একটি বহুতল ভবন। এত অল্প জায়গায় এমন ভবন কীভাবে নির্মিত হতে হতে পারে! পৌর কর্তৃপক্ষ কী ভাবে এর অনুমোদন দিতে পারে ! গণমাধ্যমের এমন তথ্য অনুসন্ধ্যানে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো ঘটনা ঘটেছে।
একজন পৌর কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এ ভবনের যিনি মালিক তিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়েও এ ব্যক্তি মহাদূর্দান্ত প্রতাপের জীবন যাপন করেছেন। আর এখনতো তার জন্য সাপে বর। তিনিই এখন এ অঞ্চলের সব কিছু। তাই আইন বা নিয়মের কোন কিছুই এ ভবনের বেলায় প্রযোজ্য হবে না। কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস রাখে না।
মহাপ্রতাপশালী সেই ব্যক্তির সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে গণমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর কর্মকর্তার দেয়া তথ্যের চেয়ে শতগুন ভয়াবহ ও গা শিউরে ওঠার মতো তথ্য এসছে ভবন মালিকের সম্পর্কে। যিনি একই সাথে বর্তমান সময়ে মহা প্রতাপশালী।
আর অতীতের ফ্যাসিস্ট যুগেও উপভোগ করেছেন রাজকীয় এক জীবন। রাজনৈতিক বিবেচনায় সে সময় যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মা হিসেবে পরিচিতি পওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জীবন কাটিয়েছেন, সেই সময়ে বিএনপি দলীয় এ প্রভাবশালী নেতা ফ্যাসিস্ট দোসরদের অন্যতম কারিগর শীর্ষ দূর্নীতিবাজদের সাথে মিলে কামিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। আর উপভোগ করেছেন এক রাজকীয় জীবন।
এখন তিনি ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা। তিনিই নিয়ন্ত্রণ করছেন জেলাসহ আশ পাশের এলাকার বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যখন ক্লিন ইমেজের লোক খুঁজতে ব্যস্ত, তখন খোলসের আড়ালে এই প্রভাবশালী নেতার প্রভাব দেখতে শুরু করেছে এলাকাবসি। তিনি শুধূ অল্পজায়গায় নিয়ম ভেঙ্গে ভবন গড়েননি। সরকারি রাস্তার জায়গায় বসিয়েছেন সাবমারসিবল পাম্প।
রাজধানী ঢাকা ,পূর্বাচলসহ আশ পাশের বহু এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই রহস্যঘেরা বিএনপি নেতার সম্পদের তালিকা। কল্পনাকে হার মানানো সম্পদের কাহিনীর সাথে মিশে আছে এই নেতার ফ্যাসিস্ট কানেকশনের এক গভীর কালো অধ্যায়। যখন দলের প্রধান জেলের মধ্যে কষ্টকর জীবনের ঘানি টানছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য প্রকাশও যখন দেশে নিষিদ্ধ !
সেই কষ্টকর সময়ে ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বিশ্বাসভাজনদের সাথে তিনি গভীরে মিশেছেন। তাদের কালো সম্পদের পাহারাদার হয়েছেন। অবলীলায় আনন্দে উচ্ছাসে কখনো প্রধানমন্ত্রী কার্যলয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে আবার কখনো বিএনপিকে ধংসের কারিগর পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সাথে মিলে সম্পদের পাহাড় গড়ার মিশনে ব্যস্ত থেকেছেন। একত্রে সম্পদ কিনে ভাগাভাগি করেছেন, ছবি তুলে নিজের প্রভাব জানান দিয়েছেন! জানা যায় তিনি ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি আব্দুল মজিদ।