ঢাকা ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
Marriage Notice দূর্নীতির বহুমাত্রিক অভিযোগ জাতীয় গৃহায়ণ প্রশাসকের বিরুদ্ধে ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করছে ‘ডা: ইদ্রিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এক লটে ৭০৩ সরঞ্জাম: দরপত্রে ক্রয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সাজানো মিথ্যে মামলায় জেল হাজতে খোকন সেখ: ফরিদ গঞ্জে ক্ষাভ টেকসই উন্নয়নে ফিলানথ্রপি উদ্যোগের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত রেলওয়েকে লাভজনক করতে উদ্যোগ চলতি বছরে জরিমানা আদায় ২২ কোটি টাকার বেশি তদন্তের মুখেও জৌলুশ বাড়ছে গণপূর্তের প্রকৌশলী স্বপন চাকমার দি ইবনেসিনা ফার্মাসিউটিক্যাল এর ৪১তমবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ২০২৫-২৬ কর বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

শ্রীনগরে ভূমি সেবায় বিস্তর অভিযোগ টাকা ছাড়া মিলছেনা নামজারী ও অন্যান্য ফাইল

#

১২ আগস্ট, ২০২৫,  4:15 PM

news image

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ 


মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের নামে নামজারী জমাভাগ, মিসকেস,লীজ নবায়ন,গ্রাহক সেবার নামে  ভোগান্তি সহ বিস্তর অনিয়ম ও দূর্নীতির  অভিযোগ উঠেছে। 


সদ্য যোগদান করা সহকারী কমিশনার ভূমি গোলাম রাব্বানী সোহেল ও তার সহোযোগী কাননগো হাবিবুর রহমান এবং সার্ভেয়ার মনিরুল ইসলামের নামে এ অভিযোগ করেন সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই।  


বর্তমান সহকারী কমিশনার ভূমি গোলাম রাব্বানী সোহেল  তিন মাস যাবৎ  কর্মস্থল শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে  যোগদান করেন।  তার সময়ে আজ পর্যন্ত দুই থেকে তিন  হাজার নামজারী কেস জমা পড়লেও সমাধান করেছেন মাত্র হাতেগোনা অল্প সংখ্যক।  


এতে করে ভূমি সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজারো গ্রাহক, একই সাথে লক্ষ লক্ষ  টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

 

 সরকারি রাজস্বের একটি বড় অংশ আসে ভূমি খাত হতে  যাহা আদায় করার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি।


 কিন্তু শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস ঘুরে দেখামিলে তার সম্পূর্ণ  উল্টো চিত্র। 


এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত  গনমাধ্যম কর্মীদের  অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সহকারী কমিশনার ভূমি  কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী সোহেল  ও তার সহোযোগিদের কৃতকর্মের  থলের বিড়াল। যাহা রীতিমতো ভ্রু-কুচকে যাওয়ার মতো বিষয়। 


সেবা নিতে আসা  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন আমরা উপজেলাবাসী  বিগত তিন মাস যাবৎ ভূমি সেবা হতে বঞ্চিত। মোট কথা এই অফিসার আসার পর হতেই ভূমি সেবার এই করুন অবস্থা।  কারন হিসেবে জানতে চাইলে তাহারা প্রতিবেদককে জানান আমরা জমিনের নাম খারিজের জন্য দুই মাস আগে জমা দেই কিন্তু  জমির কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও আমাদেরকে কোন রকম নোটিশ প্রদান ছাড়াই খেয়াল খুশি মতো নামজারী  না- মুঞ্জর করেছেন। কি কারনে নামজারী জমাভাগ কেসটি বাতিল করেছেন তার সঠিক কারনও আমরা জানতে পারছিনা। অফিসে কর্মরত অনেকের নিকট কারন  জানতে চাইলে তাহারা বলেন এসিল্যান্ড স্যার নিয়ম করেছেন অফিসের কানুনগো কিংবা সার্ভেয়ারের নিকট ৪ হাজার টাকা জমা দিলে আর শুনানি লাগবেনা এমনেতেই নামজারি হয়ে যাবে ফলে উপজেলাবাসীর অনেকের মনে জন্ম নিচ্ছে নানা রকম ক্ষোপ । 

 

কুকুটিয়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী হাবিব বলেন আমার নামজারী না -মুঞ্জুর হলে  আমি এসিল্যান্ড স্যারের নিকট গিয়ে জানতে পারি আমার এস এ পর্চা সইমহূরী নাই অথচ আমার আগের নামজারী আছে। একই ইউনিয়নের ফালু শেখ বলেন আমার দলিলে নাম ফালু শেখ ভোটার আইডি কার্ডে শেখ ফালু, শেখ আগে পরে তাই আমার নামজারীটি না মুঞ্জুর করেছন যাহা খুবই দুঃখজনক ।  


নামের একটু অমিল থাকলে জানামতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে যুগযুগ ধরে সমাধান হয়ে আসছে বিষয়টি, কিন্তু বর্তমান সহকারী কমিশনার ভূমি মানছেননা কোন চেয়ারম্যান এর প্রত্যয়ন পত্র যা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে উপজেলা বাসীকে। এদিকে সোন্ধারদিয়া গ্রামের মো: আলী হোসেন এবং নন্দীপাড়া গ্রামের কবির হোসেন অভিযোগ করে বলেন আমার নামজারী কেস নং ১৪/২৫-২৬ ও  ৫৮০/২৫-২৬ যাহার শুনানির তারিখ ছিল ১৭/০৭/২০২৫ ফলে আমরা সয়ং নিজে শুনানিতে অংশ গ্রহন করে ঢাকা চলে যাই শুনানির ২৩ দিন পর জানতে পারি নামজারী কেসটি না- মুঞ্জর হয়েছে  যা খুবই দু:খ জনক আমরা উপজেলাবাসী এর প্রতিকার চাই। 


পটাভোগ ইউনিয়নের আবু কালাম সহ আরো  আট দশ জন ভুক্তভোগী বলেন আমরা বাড়ির লিজ নবায়নের জন্য এক বছর আগে দেউলভোগ অফিসে  জমা দিয়েছি সাথে দুই হাজার টাকা  দিলেও আজ পর্যন্ত ফাইল কি অবস্থায় আছে তাও আমরা  জানিনা। এই বিষয়ে এসিল্যান্ড স্যারের নিকট গিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা প্রতিবেদককে বলেন স্যারের নিকটে যাইনি তবে অন্যান্য অফিসারের নিকট গেলে তারা বলেন ফাইল খুজে পাইনা আপনারা পূনরায় আবেদন করেন।


গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বহুল আলোচিত সুন্দর ব্যবস্থাপনার আরেক নাম ব্যক্তি মালিকানা জমির নাম খারিজ। যার মধ্যে লুকায়িত বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ। 


জানাযায়, একটা নামজারীর (DCR)ফি ১১০০টাকা যাহা সরকারী কোষাগারে জমা হয়ে থাকে। সরকারের পক্ষে কালেকশন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার দায়িত্বে থাকেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা। কিন্তু শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনার দরুন হাজারো গ্রাহকের ভূমি সেবা যেমনি গহীন অন্ধকারে ঢাকা,  তেমনি সরকারের লক্ষ লক্ষ  টাকা রাজস্ব আদায় যেন শুভংকরের ফাঁকি ছাড়া আর কিছুই নয়। 


ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, নামজারীর ফাইল নিয়ে  ইউনিয়ন ভূমি সহকারীর নিকট গেলে তাহারা প্রতি ফাইলের জন্য দুই হাজার টাকা করে দাবি করেন, দাবিকৃত টাকা না দিলে ঐখান থেকেই আবেদন বাতিল করে প্রস্তাব পাঠিয়ে দেন বলে জানাজায়। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জাহিদুল ইসলাম