ঢাকা ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
Marriage Notice দূর্নীতির বহুমাত্রিক অভিযোগ জাতীয় গৃহায়ণ প্রশাসকের বিরুদ্ধে ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করছে ‘ডা: ইদ্রিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এক লটে ৭০৩ সরঞ্জাম: দরপত্রে ক্রয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সাজানো মিথ্যে মামলায় জেল হাজতে খোকন সেখ: ফরিদ গঞ্জে ক্ষাভ টেকসই উন্নয়নে ফিলানথ্রপি উদ্যোগের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত রেলওয়েকে লাভজনক করতে উদ্যোগ চলতি বছরে জরিমানা আদায় ২২ কোটি টাকার বেশি তদন্তের মুখেও জৌলুশ বাড়ছে গণপূর্তের প্রকৌশলী স্বপন চাকমার দি ইবনেসিনা ফার্মাসিউটিক্যাল এর ৪১তমবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ২০২৫-২৬ কর বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

সাজানো মিথ্যে মামলায় জেল হাজতে খোকন সেখ: ফরিদ গঞ্জে ক্ষাভ

#

জাহিদুল আলম, ঢাকা

২৯ নভেম্বর, ২০২৫,  7:16 PM

news image


রাজধানীর মুগদা থানায় সাজানো একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন জেল হাজতে আছে ফরিদগঞ্জ থানার খোকন শেখ। মামলা নাও ৩২০, তারিখ ১৩ ই নভেম্বর ২০২৫। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মামলাটি দায়ের করেছে আরিফ নামে এক ব্যক্তি। গ্রীন মডেল টাউনের এ ব্লকের ১৬ নম্বর রোডে ৮ নম্বর বাড়ির মালিক নয়ন। চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করা আরিফ নয়নের ভাগ্নি জামাই। জেলে থাকা আসামি এবং নয়ন ও আরিফ উভয়েই চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকার অধিবাসী। 

জানা যায় নয়ন ও খোকন শেখ এর পরিবারের মাঝে ঝামেলা চলছিল। বিগত সময়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ও চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় দুই পরিবারের মাঝে একটি সমঝোতা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে জুয়েল শেখ দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এই তথ্য জেনে জুয়েল শেখ এর পরিবারকে শায়েস্তা করার মানসিকতা থেকে মুগদার বাড়ীতে    চাঁদাবাজির মিথ্যে মামলা সাজায় নয়নের পরামর্শে জামাই  আরিফ।

তাদের পরিকল্পিত সাজানো মামলায় ঢাকায় না এসেও চাঁদাবাজিতে আসামি হয়ে যায় খোকন শেখ। কিছু জানার আগেই কিছু নিজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হল খোকন শেখ। মামলার অপার আসামি করা হয় খোকন শেখের বড় ভাইকে। একটি মীমাংসিত পারিবারিক ঘটনাকে ভিন্ন আঙ্গিক দিতে নীল নকশা করেন  নয়ন। জানা যায় নয়ন একজন আদম ব্যবসায়ী। সেই সাথে ফ্যাসিস্ট দোসর সে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন পল্টনের চায়না টাউনে ওভারসিজ ব্যবসা খুলে হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে নয়ন। জড়িয়ে পড়ে তৎকালীন সম্রাট সিন্ডিকেটে। চাঁদাবাজির টাকায় ঢাকা সহ এলাকায় গড়ে তোলে বহু সম্পদ। এখনো টাকার জোরে ধরা কে সরা জ্ঞান করে চলছে এই নয়ন। তারই নীল নকশায়  মামলায় এখন জেলে অতি সাধারণ খোকন শেখ 

এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আইন অঙ্গনের সাথে জড়িতরা বলছে, ২০২৫ সালের জুনে, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল  ঘোষণা করেছেন যে, Code of Criminal Procedure (CrPC)-তে নতুন নিয়ম (Section 173A) যুক্ত হয়েছে, যাতে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ বা সাক্ষ্য-অভাব থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতি জানাতে পারবেন। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো মিথ্যা মামলা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ থেকে নির্দোষ মানুষকে রক্ষা করা। 

সম্প্রতি দায়ের করা মিথ্যা মামলার।২০২৫ সালের আগস্টে, সরকারের একটি ঘোষণা যারা মিথ্যা মামলা দায়ের করবে বা অন্যকে হয়রানি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। Judicial Reform Commission (JRC) ২০২৫ সালের একটি প্রস্তাবনায় বলেছে, মিথ্যা মামলার শিকার যারা  তাদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও বাড়ানো উচিত। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পুরনো সীমা (Tk 1,000) খুবই অরুচিকর;

ক্ষতির মাত্রা অনুযায়ী বেশি ক্ষতিপূরণ এবং অনাদায়ে বাড়তি জরিমানা/শাস্তি হওয়া উচিত।আইন এবং ন্যায়বিচারে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন এসেছে (CrPC-র সংশোধনী, ক্ষতিপূরণ প্রস্তাব), যা নির্দোষ মানুষকে হয়রানি ও কালিমালিপ্ত অভিযোগ থেকে রক্ষার পথ খুলে দিয়েছে।পারিবারিক বিরোধ মিটমাট হওয়ার পরও কেউ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করলে এটি আইনগতভাবে “ম্যালিশাস প্রসিকিউশন” (malicious prosecution)

বা হয়রানিমূলক মামলা হিসেবে গণ্য হয়। পারিবারিক মীমাংসার পর মিথ্যা মামলা দিলে বাংলাদেশে এ ধরনের মামলাকে আইন হয়রানি হিসেবে গণ্য করে। বিশেষ করে:CrPC (Code of Criminal Procedure)–এর নতুন সংশোধনী (২০২৫) অনুযায়ী:প্রাথমিক তদন্তেই যদি পরিষ্কার হয় যে অভিযোগ মিথ্যা, অসত্য বা ব্যক্তিগত প্রতিশোধমূলক,

ম্যাজিস্ট্রেট সরাসরি মামলা খারিজ (dismiss) করতে পারেন অভিযোগকারী যদি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা/জরিমানা/কারাদণ্ড হতে পারে  জিডি করে General Diary পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছিল এরপরও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।গত ২/১১/২৫ইং

জিডি করেও   আইনি সুরক্ষায় সাহায্য পায়নি ।আদালতে ‘মিথ্যা মামলা খারিজের আবেদন’ (Petition for discharge)ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ গঠনের আগেই আবেদন করতে পারেন যে:মামলা প্রতিহিংসা মূলক,পক্ষসমূহ আগে সমঝোতায় পৌঁছেছিল,কোনো প্রমাণ নেই।

আইনজীবীর মাধ্যমে করলে এটি দ্রুত কার্যকর হতে পারে। তারা সেই সময়টুকু পায়নি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা যদি প্রমাণ হয় যে অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে দেওয়া— আসামি  করতে পারেন: ৫০০ ধারায় (Defamation) মানহানি মামলা

২১/২২ ধারায় (false information) শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ম্যালিশাস প্রসিকিউশন মামলা, যেখানে ক্ষতিপূরণও দাবি করা যায়. প্রমাণ হিসেবে যা যা দরকার পূর্বের পারিবারিক মীমাংসার চুক্তি/সমঝোতার কাগজ সাক্ষী (পরিবারের সদস্য, আত্মীয়)মীমাংসার সময়কার উপস্থিতি/স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আসামি, পূর্বে করেছিল থানায় SP অফিসে অভিযোগ যদি প্রমাণ থাকে আপনি নির্দোষ এবং মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তাহলে:

Penal Code 211ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা মামলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায়। Penal Code 500/501মানহানির মামলা করা যায় (যদি আপনার সুনামের ক্ষতি হয়ে থাকে)। 140, 144 ধারায় নালিশ।


আসামি খোকন শেখ মিথ্যা মামলা হয়রানি উদ্দেশ্য এই ধারা গুলো ব্যবহার করা হয়েছে ৪৪৭  জোরপূর্বক প্রবেশ৩৬৪ অপহরণ ৩৮৫ ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি ৩৮৬ ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়৫০৬ ভয়ভীতি দেখানো  হুমকি১০৯ প্ররোচনা  সহায়তা করা

এ বিষয়ে মুগদা থানার ওসি জানান বিজ্ঞ চীপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  আদালত থেকে  আমাদের কাছে মামলাতে এসেছে আমরা মামালা নিয়েছি  তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আসামিকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমরা আসামিকে নিয়ে এসেছি আমাদের নিয়ম অনুযায় কোর্টে হাজির করিয়েছে। আমরা তদন্ত করতেছি সঠিক তদন্ত করে আদালত  প্রেরণ করা হবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত) মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান আদালত থেকে মামলা রুজুও করার জন্য বলা হলে আমার থানা  মামলা নিলে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আসামি কে ২৬/১১/২৫ রাতে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ থানা থেকে নিয়ে আসি আমরা সঠিক তদন্ত করে আদালতে প্রেরণ  করা হবে।

বাদি আরিফ কে ফোন দিলে তার মামা নয়ন কে দিয়ে কথা বলান তিনি জানান ২নং আসামি কথা অনুযায়ী তাদের আসামি করা হয়েছে। কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। জানা যায়, ফ্যাসিস্ট সরকার আমলের ফরিদগঞ্জের চেয়ারম্যান হারুন ও এমপি শামসুল হক ভূঁইয়া হাত ধরে  নয়াপল্টন চায়না টাওয়ার নয়ন ওভারসিজ এর যাত্রা শুরু হয়। এর পর ফ্যাসিস্টের অন্যতম দোসর হয়ে ওঠে নয়ন।

ওভারসিস ব্যবসার পাশাপাশি চাদবাজি, টেন্ডাবাজি, আওয়ামীলীগের প্রতাপশালীদের অর্থ ভান্ডারের রক্ষক হয়ে ওঠে নয়ন।  সবচেয়ে বড় খবর বিএনপি অেসের কাছে অফিস হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মিসহ  বিরোধীদের অবস্থান সনাকত্ করে যুবলীগসহ আওয়ামীলীগের  লোকজনের কাছে গোপন খবর দেয়ার গোযেন্দা দায়িত্ব পালন করে অল্প সময়ে ফ্যাসিস্ট ক্ষমতাবানদের আস্থা অর্জন করে নয়ন।  নিজেকে দাপুটে ক্ষমতাধর হিসেবে জাহির করে আসছেন সেই সময় থেকেই। অথচ এখন এই নয়ন আবার নিজেকে বিএনপির লোক বলে দাবি করছে। 


 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জাহিদুল ইসলাম